Thursday, July 05, 2007

নামহীন (০৩.০৭.০৭)

তোমার কোলে মাথা রেখে শুয়েছি
ক্লান্ত মন, শ্রান্ত শরীর,
সমস্ত অবসাদ মুছে গেছে লহমায়
চোখে আমার তখন ভোরের গন্ধ!

তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছি,
শুষে নিয়েছ আমার সমস্ত তিক্ততা
অনাবিল মাধুর্যে ভরে গেছে মন
আমি তখন মধুর কন ফুল গাছের ডালে!

মুখ ঢেকেছি তোমার বুকে,
তোমার স্তনের সমস্ত কোমলতা
মাখিয়ে নিয়েছি আমার ঠোঁটে-জিভে,
আকাশ ভাঙা বৃষ্টি আজ
মুছে দিয়েছে আমার মনের যাবতীয় রুক্ষতা।

যখন আমার শরীর বয়ে গেছে
তোমার ঊরু-জঙ্ঘা-যোনি বেয়ে
আঁকড়ে ধরেছি তোমায়,
প্রবেশ করেছি গভীর থেকে গভীরে।
তোমার শরীর তখন যৌনতা ছাড়া
এক বিশাল অমৃত বৃক্ষ
আমার সর্পিল দেহের যাবতীয় বিষ শুষে নিতে

নামহীন (২৬.০৬.০৭)

নেশাতুর আমি আবেশে নিমজ্জমান,
মৌতাত ভেঙে চেয়ে দেখি
স্নায়ুতন্ত্র জুড়ে প্রবাহমান কোমল স্পর্ষের ছবি।
স্পর্ষেন্দ্রিয় যার অপেক্ষায় বসে
সে এখন উথাল-পাথাল বিছানা সমুদ্রে ভেসে বেড়াচ্ছে!

নিভৃতে পাখিদের কল-কাকলি
ক্লান্ত করে তোলে আমায়
কানে বাজে অন্য কোন সুর বিক্ষিপ্ত লয়ে।
কান এখন যার অপেক্ষায়
সে এখন সতেজ-সবাক, আলাপচারিতায় রত নিজের সাথে।

ঘ্রাণ নাকে আসে সুগন্ধি ফুলের
ধীরে ধীরে হই সম্মোহিত
মন উড়ে যায় গন্ধ ভেবে অন্য কোন পাঁপড়িতে।
ঠোঁট যার অপেক্ষায় বসে
সেই ঠোঁট এখন স্থির-নিথর-নিদ্রামগ্ন যাবতীয় যৌনতা ঝেড়ে।

তবুও বিলম্বিত লয়ে রাত আসে ধীরে
হালকা তুলোর মতো মন
ভেসে যায় তার দিকে প্রবল গতিতে।
স্বপ্নে কোন অপেক্ষা থাকে না,
আমার হাত ছোঁয় তার হাত-মুখ
শরীরের প্রতিটা অঙ্গ।
স্বপ্নে কোনও দূরত্ব থাকে না,
তাই সে আমি মিলেমিশে একাকার
জন্ম দিতে নতুন স্বপ্নের!

নামহীন (২১.০৬.০৭)

এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেলে
আধভেজা মৃদু বাতাসে
তোমার শরীরের ঘ্রান পাই।
গাছের পাতা চুঁইয়ে পড়া প্রতিটা জলবিন্দু
আমার উষ্ণ গালে শিতলরেখা এঁকে যায়
তোমার কোমল স্পর্ষ হয়ে।

দূর পাহাড়ে হঠাৎ জেগে ওঠা রামধনু
রঙ ছিটিয়ে যায় আমার রক্তিম মুখে
তাকিয়ে থাকি এক দৃষ্টে।
ভেসে ওঠে রঙের প্রলেপ তোমার আঁখ পল্লবে,
তোমার মনি আসলে ভ্রমে রামধনু।

সমস্ত জড়তা কাটিয়ে পা বাড়াই
রৌদ্র চলে পা মিলিয়ে,
মুহুর্তকালে নামে বৃষ্টি, এক ফোঁটা-দু ফোঁটা,
রোদ-বৃষ্টি থাকে একসাথে, ঠিক তোমার মতো
কখনও হাসি-দুঃখ মিশিয়ে আমায় ভেজায় যেমন।

দূরে ফোটা ওই ফুল্টা কি তোমার মতো?
হাত বাড়াই, পাঁপড়ি ছুই,
চারদিকে আমার তখন ধোঁয়াটে বৃষ্টি।
ছোঁয়া লাগে তোমার হাতের মতোই,
আমার সব পাপ ধুয়ে দেওয়া পেলব-মসৃন নিস্পাপ ছোঁয়া।

রাতে তোমাইয় নিয়ে ভাবি, কল্পনায় তুমি,
অবাক হই – রাগও ওঠে নিজের ওপর,
বৃষ্টি-রামধনু ফুলে কখন যেন বাস্তব হয়ে গেছ কল্পনা থেকে!
বুঝতেও পারিনি, সারাদিন তুমি ছিলে আমায় ঘিরে,
তবু আশা রাখি, কাল হয়ত বুঝব, ঠিক বুঝব।

নামহীন (১৮.০৬.০৭)

তোমার চোখের ঢেউয়ে আমি ভাসি
বৃষ্টি শেষের শীতল বাতাস নিয়ে,
পায়ের পাতা ভিজিয়ে নিয়ে ঘাসে
বারে বারে তোমার কাছে আসি।

তোমার হাসি রামধনু দেয় মেলে
সাতরাঙা রঙ রাঙায় আমার এ মন,
সবার বুকে রঙ ছড়াতে পারি
রঙিন ভাবে তোমায় কাছে পেলে।

তোমার কথা সুর তুলে যায় বুকে
হাওয়ায় ভাসি মেলে দিয়ে পাখা,
হাজার কথা হৃদয় বেয়ে আমার
সুর মিলিয়ে গান হয়ে যায় মুখে।

গভীর ঘুমে তুমি আমার পাশে
তন্দ্রাহীনায় তোমার স্বপন চোখে,
অষ্টপ্রহর মেঘ জড়িয়ে আমি
তোমায় নিয়ে ভাসি নীল আকাশে।

মন শুধু চায় তোমায় কাছে পেতে
ঘুরে বেড়ায় তোমার চারিপাশে,
প্রানহীন এই নিথর শরীর চায়
একটু ছোঁয়ায় নতুন জীবন পেতে।