Saturday, March 31, 2007

নামহীন (৩১.০৩.০৭)

নিঃশব্দে পেড়িয়ে এসেছি কতটা বছর,
মনের আঙিনায় তোমার ছায়া দেখি যখন
সন্ধ্যা বুঝি তখন।
গোধুলির আবছায়াতে আর একটু স্পষ্ট হলেও তো পারতে!

কত বাঁক পেড়িয়ে এসেছি পথে,
নিঃসঙ্গ বন পথে হেঁটে যেতে যেতে
আলগোছে ছুঁয়ে গেছি জংলিলতার পাতা।
কখনো বা আনমনে হাত বুলিয়েছি ফুলে,
হয়তো তোমার স্পর্ষই চেয়েছিলাম অবচেতনে।

একঝাঁক সময়কে পিছনে ফেলে এসেছি,
ফাঁকে ফাঁকে মিশে আছে উন্নততর জীবনের ছন্দ
প্রবল ব্যস্ততা মাখা সময় একটুকরো চকলেটের মতো।
যান্ত্রিক নগরজীবন পরোয়া করেনি কিছুই,
তবু তুমি কখনও উঁকি দিয়ে যাওনি, একথা বলতে পারিনা।

নিঃসঙ্গ যাত্রাপথে দ্রুতগামী রানওয়ে চলে যেতে যেতে
এরোপ্লেনের পুরু কাঁচে তোমার প্রতিচ্ছবি হয়তো ফুটিয়ে গেছিল,
অথবা যাত্রা শেষে টার্মিনালে হঠাৎ কোন নারীমুখে
তোমায় ভ্রম খুব অস্বাভাবিক কি?

সেদিন চেয়েছিলাম তোমায় মুছে ফেলতে,
ধুয়ে ফেলতে সব রঙ বৃষ্টির শেষ ফোঁটা দিয়ে।
তবু হয়তো কিছু রঙ থাকে যেগুলো মোছা যায় না
নাহলে আজও তোমার অবয়ব আমার চোখের নিচে থাকত না,
হোক না তা যতই অস্পষ্ট!
হয়তো কিছু রঙ থাকে নিঃসঙ্গ, একাকী,
ঠিক আমার যন্ত্রনার মতো, রাঙিয়ে দিয়ে যায় নিরালায়।
কিছু রঙ থাকে আমার, আর কিছুটা তোমার!

Wednesday, March 28, 2007

নামহীন (২০.০২.০৭)

রঙিন সুদৃশ্য কাগজের সংখ্যাগুলো হয়তো সত্যিই মূল্যবান,
দাঁড়ি-পাল্লায় তোমার আর সংখ্যার
ভর নিরুপনে গোলমাল করে ফেলি।
রাশি রাশি ভালোবাসার স্তুপ থেকে খুঁজে পেতে কষ্ট হয়
সবচেয়ে দামী সুরভিত ভালোবাসাকে!
লাল-নীল মোড়ক ঠাসা ভালোবাসা স্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকি
দ্বিধাগ্রস্ত আমি!

ঝাপসা চোখের অসহায় দৃষ্টিবিভ্রম শেষে
দ্বারস্থ হই কোন শিততাপ নিয়ন্ত্রিত পসরার,
সুগন্ধিত লাল গোলাপ আঁকা বহু মূল্য কার্ড
স্পষ্ট নির্দেশ করে আমাদের গভীর ভালোবাসাকে!

সারাদিন চিন্তনে-মননে সংখ্যার আবর্ত মাঝে
যখন তোমায় ছুঁই রাতে,
বাড়িয়ে দিই হিরকখচিত কোন অলঙ্কার।
মুহুর্তে শরীর পায় আমাদের অশরীরি ভালোবাসা,
প্রবল দ্যুতিতে জাহির করে তার তীব্রতা।

এই ভাবে কেটে যায় এক একটা যুগ,
কাটিয়ে দিই আমরা গোটা জীবন।
দ্রুত গতিতে বিবর্তিত ভালোবাসা আজ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য।
বৈদ্যুতিন সমস্ত উজ্জ্বলতা নিয়ে আমরা প্রেমের গাঙে পাল তুলি,
কারন, শত-কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা তোমার আমার মধ্যে
এই বহুজাতিক ভালোবাসাই একমাত্র মাধ্যাকর্ষন!