Tuesday, December 12, 2006

একটি প্রজাপতির উপাখ্যান

শুঁয়োপোকার গুটি থেকে একটা ছোট্ট প্রজাপতি যখন জন্মাল, তার বাবা-মা আদর করে নাম রাখল ‘টি’। শুকনো পাতার বাসার মধ্যে বাব-মা আর টি। ছোট্ট টির পৃথিবী তখন ওইটুকুই। কদিন বাদে ধীর লয়ে বড় হওয়া শুরু করল টি। যদিও তখনও টির ডানা শক্ত হয়নি, তবুও সদ্য বল পাওয়া নরম পায়ে শুকনো ঘাসে আরো সব ছোট-ছোট প্রজাপতিদের সঙ্গে খেলা করে বেড়াত। সমস্তদিন তার কেটে যেত বন্ধুদের সঙ্গে খেলায়। এই কদিনে সে পৃথিবীর অনেক রূপ দেখেছে। আকাশ দেখেছে, আকাশে বেড়ান মেঘ দেখেছে, গায়ে রোদের ওম নিতে শিখেছে! এই সবেই তার দিন কেটে যেত, সন্ধ্যা নামলে সে ফিরে আসত তার ধূসর বাসায়। দিন শেষে সে যখন খেলাধুলা সেরে ঘরে ফিরত, দেখত তার মা শুকনো পাঁপড়ি মেলে ফুটে আছে তার জন্য। তার বাবা সমস্তদিন পরিশ্রম করে তাদের জন্য শিশিরবিন্দু নিয়ে আসত। মার মধু আর বাবার আনা শিশির খেয়ে টি ঘুমিয়ে পড়ত মাকে জড়িয়ে ধরে।
একদিন বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে খেলতে টি তার বাড়ির থেকে অনেকদূরে চলে এসেছিল। তার ওই ছোট্ট গন্ডিটার বাইরে সে প্রথম পা দিয়ে আনন্দে ফেটে পড়েছিল। তখন তার বার বার মনে হচ্ছিল, ‘ইস্‌... যদি এখন ডানাটা থাকত!’ অবাক বিস্ময়ে সে পথের দুধার দেখতে দেখতে চলল। কত ফুল ফুটে রয়েছে পথের ধারে, কত সতেজ আর সুন্দর তারা! তার মায়ের মতো জলহীন অপুষ্টিতে ভোগা গাছের শুকনো ফুল নয়।
বিকেলে যখন সে বাড়ি ফিরে এল, সে তার মাকে সব গল্প বলল। তার আনন্দের কথা, উত্তেজনার কথা, বিস্ময়ের কথা! রাস্তার দুধারের ঘাসগুলোর কথা, সুন্দর সন্দর ফুলগুলোর কথা আরো কত কী! তার গল্প যেন শেষই হতে চায় না। টি তার মাকে বলল, “মাম, তুমি যদি ওদের মতো অত সতেজ হতে তাহলে কত সুন্দর হত!”
মা টির কপালে আদর করে চুমু খেয়ে বলল, “ধুর্‌ বোকা! আমি এই খুব ভালো আছি। তুই বড় হ, তখন বুঝবি ওই ফুলেরা কত নিঃসঙ্গ হয়। এই যে তুই তোর বাবাকে আর আমাকে দেখছিস, দেখিস্‌, আমি ঝরে গেলে তোর বাবা আর বেশিদিন থাকবে না। বা তোর বাবা না থাকলেও আমি ঝরে যাব। ফুল আর প্রজাপতি একসঙ্গে মিশে গেলে তারা একে অন্যেকে ছাড়া বাঁচে না!” তার মা টির গায়ে পাঁপড়ি বুলিয়ে দিতে দিতে বলে চলল, “ওই ফুলগুলো খুব সতেজ আর সুন্দর দেখতে, ওদের ওপর কত-শত ভ্রমর রোজ বসে, কিন্তু ওদের একটাও প্রজাপতি নেই। প্রজাপতি শুকনো ফুলদেরই ভালবাসে। কারন শুকনো ফুল আর প্রজাপতি মিলেই আরএকটা প্রজাপতি জন্মায়! যেমন তুই আমার ছোট্ট প্রজাপতি।“ মা টির গালে আলতো চুমু খেল। টি দেখল তার মার পাঁপড়ি-বৃন্ত কত উজ্জ্বল! ওই ফুলগুলোর থেকেও অনেক অনেক বেশি উজ্জ্বল, তার মাকে ওদের থেকে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে দেখতে, শুকনো হলেও। সে কোনওদিন তার মাকে এভাবে দেখেনি! টি মনে মনে বলল, “মা, আমি চিরদিন প্রজাপতিই থাকব, কোনওদিন ভ্রমর হব না, তুমি দেখে নিও।“


এরপর যখন টির বয়স আটদিন হল, তখন ওকে অন্য বাগালে রেখে আসা হল যাতে ও আরো ভালোভাবে সবকিছু শিখতে পারে। সেদিন খুব কেঁদেছিল টি। ওর চারপাশের সব্বাই দেখে বলেছিল, “ধুর্‌ বোকা, ছেলেরা কাঁদে নাকি”! ছেলেরা কেন কাঁদেনা তা টি আজও বোঝেনা। কিন্তু কান্না চাপতে চাপতে এখন আর টির চোখ দিয়ে জল বের হয় না। প্রচন্ড কষ্টে হয়ত চোখের কোনা দিয়ে একফোঁটা রক্ত গড়িয়ে পড়ে!
ধীরে ধীরে টি আরো বড় হতে লাগল। একদিন সকালের মিঠেরোদে সে দেখল তার ধূসর রোমশ ডানায় রঙের ছোপ লেগেছে। খুব শিগগিরি তার ডানাগুলো রঙ-বেরঙের হয়ে যাবে। তার মানে তার ডানা শক্ত হচ্ছে। সাহসে ভর করে সে দু-তিন বার তার পাখা নাড়াল। প্রথমে অসুবিধা হলেও সে ওড়া শুরু করে দিল! টি উড়তে লাগল। তার ছোট্ট পাখার ওপর রোদ পড়ে সদ্য গজান রোমগুলো চক-চক করছে। মাটির থেকে অনেক ওপরে একবুক নিঃশ্বাস নিয়ে টি ওড়া শুরু করল। সে সোজা এসে থামল তাদের বাসায়। তার মা আগের থেকে অনেক বেশী ক্লিষ্ট হয়েছে। চুপি-চুপি সে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল, ঠিক যেমন ছোটবেলায় করত। টিকে দেখে মা তো অবাক! “কিরে টি, তুই! তোর বাবা নিয়ে এল নাকি? কোথায় তোর বাবা?” মা অবাক হয়ে বলল। টি খুব মজা পেল। তার মা বুঝতেই পারেনি যে সে নিজে উড়ে এসেছে। সে তখন তার মাকে তার ওড়ার গল্প বলল, তার পাখের রঙিন ছোপ দেখাল। মা তখন খুব খুশি। সত্যি, তার মা ছাড়া আর কেউ তার ওড়ার খবরে এত খুশি হবে না! মা তাকে খুব আদর করল, কতদিনের জমিয়ে রাখা মধু বের করে খাওয়াল। তারপর কাছে বসিয়ে টি কে বলল এখন টির অনেক বিপদ! তার ঊড়ন্ত রঙিন ডানা দুটোই তার মৃত্যুর কারন হতে পারে। কত সতর্ক থাকতে হবে তাকে, এক মুহুর্তের অসতর্কতা তাকে ঠেলে দেবে মৃত্যুর মুখে। সেদিন টির আর বাগানে ফেরা হলনা। রাতে বাবা-মার সঙ্গে কত গল্প করল। খুব মজা করল ওরা তিনজন মিলে। পরদিন আবার টি ফিরে গেল তার বাগানে। আরও বেশ কিছুদিন পর ধিরে-ধিরে টির দুটো পাখাই পুরোপুরি রঙিন হয়ে গেল। এখন টি একজন পূর্ণ প্রজাপতি। এখন সে বড়, এখন তাকে শিশিরবিন্দু যোগাড় করতে হবে, যেমন তার বাবা করে। তাই সে চলে গেল এক বাগানে, অনেক বড় এক বাগানে!


সেই বাগানে শুরু হল টির অন্য এক জীবন।তার সমস্ত দিন কেটে যায় রসদ যোগাড় করতে। মা-বাবার কাছে যাওয়ার সময় সে পায়ই না। তবুও তার মার দেওয়া মধু তাকে কেমন একটা শক্তি, একটা শান্তি দেয়।
এখন টির চারপাশে প্রচুর ফুল। সে ফুলে বাগানের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। কত রঙের, কত গন্ধের সব ফুল! কিন্তু কোনও ফুলেই সে আকৃষ্ট হয় না। সে জানে সব ফুলেই মধু থাকে না, বিষও থাকে। কত প্রজাপতিকে সে দেখেছে মরে যেতে, পঙ্গু হয়ে যেতে। তাই সে ভয়ে ফুলের দিকে যায় না। কিন্তু ভ্রমরেরা সব ফুলে ফুলে যেতে পারে। বিষে ওদের কিচ্ছু হয়না, তাই ওরা ফুলে ফুলে ঘুরে বেরায়। আসলে ওরা তো আর ফুলের সঙ্গে ঘর বাঁধেনা! কিন্তু টির সেসব কথা ভেবে কোনও লাভ নেই, সে তো আর ভ্রমর নয়! তাছাড়া সেরকম কোনও ফুলকে দেখে মনেও হয়নি যে এখানে বাকিটা জীবন কাটান যেতে পারে। বরং ফাঁক পেলে সে রাম ধনুর দিকে উড়ে যায়। সে যত রামধনুর দিকে যায়, রামধনু তত দূরে সরে যায়। এটা তার প্রিয় খেলা। সে ভেবেছিল এইভাবেই হয়ত জীবনটা কেটে যাবে।কিন্তু একদিন হঠাৎ কি হল, উড়তে উড়তে তার নাকে এসে লাগল একটা গন্ধ। একটা ফুলের গন্ধ! টির সারা শরীর অবশ হয়ে এল। সে একটা প্রবল আকর্ষণ অনুভব করতে লাগল। টি একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়ল। সে কোনওদিন ভাবেনি যে তার কোনও ফুলকে ভাল লাগবে। সে প্রথমে ভাবল এটা বোধ হয় মনের ভুল। কিন্তু যত দিন যেতে লাগল টি তত বেশী পাগল হয়ে উঠতে লাগল। এক মুহুর্ত সে স্থির হয়ে থাকতে পারে না। য্তক্ষন সে ফুলটার গন্ধ পায় ততক্ষন সে আওনন্দে-খুশিতে ভেসে বেরায়, আর বাকি সময় সে সেই ঘ্রানের রেশ মনের মধ্যে নিয়ে বেড়ায়। টি ভাবে, এভাবে তো সে মরে যাবে, তার চেয়ে বরং পালিয়ে যাই অন্য কোথাও যেখানে তাকে ওই গন্ধ তাড়া করবে না। তারপর ভাবে, নাহ্‌, মরতে তো তাকে হবেই একদিন। প্রতি পদে মৃত্যুর হাতছানি নিয়ে সে বেঁচে আছে, তার চেয়ে বরং ওই ফুল্টার কথা ভেবেই মরা ভাল! কিন্তু সমস্যা হল, সে ফুলটাকে কোনওদিন দেখেনি। ফুলটা কেমন দেখতে, তার রঙ কেমন, কিচ্ছু জানে না সে। শুধু তার গন্ধের ওপর নির্ভর করে সে মনে মনে একটা অবয়ব ভেবে নিয়েছে। ফুলটার সঙ্গে তার সব কথা হয় গন্ধ দিয়ে। ফুলটার গন্ধ তার কাছে ফুলটার কথা নিয়ে আসে। আবার তার ডানার ঝাপ্টায় সেই গন্ধই তার কথাগুলো ফুলটার কাছে পৌছে দেয়। টি শুনতে পায় ফুলটা তাকে বলছে, “আচ্ছা তুমি অমন কর কেন?”
“কেমন করি?” টি পালটা প্রশ্ন করে।
“ওই রকম অস্থির অস্থির...” ফুল বলে।
“আমি তোমাকে ভালবাসি যে! পৃথিবীর সবকিছুর থেকে বেশী। তোমার গন্ধ আমায় পাগল করে দেয়। তাই তো এমন করি!” টি বলে।
“পাগল একটা! কী লাভ এতে? তুমি কি জান এর পরিণতি কি?” ফুল প্রশ্ন করে।
“নাহ্‌, তুমি জান?” টি বলে।
কিছুক্ষন চুপ করে থাকে ফুল তারপর বলে, “হয়ত জানি, হয়ত জানিনা, ঠিক বলতে পারব না”।
“সেটা আবার কিরকম? এরকম হয় নাকি!” টি অবাক হয়ে বলে।
“কেন হবে না? আমি না গন্ধফুল...” বেশ খানিকটা অধৈর্য্য হয়ে বলে ফুল, “আমার জন্য সব হয়। তুমি জান না? তুমি না প্রজাপতি!”
একটু লজ্জিত হয় টি, বলে, “আসলে আমি তো এর আগে কোনও ফুলের সঙ্গে কথা বলিনি, তাই.........”
কি যেন একটু ভাবে ফুল, তারপর বলে, “আমি তোমার ভাল চাই টি, আমি চাই সবসময় তোমার ভাল হোক। কিন্তু সবসময় সবকিছু বলা বা করা যায় না। আমি জানি না ভবিষ্যতে তোমার জন্য বা আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে”।
টি ভাবে, এটা কিরকম ভাল? প্রতি মুহুর্ত একটা চাপা কষ্ট সে বুকে চেপে বয়ে বেড়াচ্ছে। এই কষ্ট তার ভালোর জন্য? সবকিছু কেমন ঘোলাটে হয়ে যায় টির কাছে। অধৈর্য্য হয়ে সে ফুলকে জিজ্ঞাসা করে, “তুমি কি আমাকে ভালবাস না ফুল?”
অনেক্ষন কেটে যায়, ওপার থেকে ভেসে আসে নিরবতা। ব্যাকুল টি কাতর গলায় বলে, “ফুল, আমি চাই তুমি ভাল থাক। এর থেকে বেশি আমি কিছু চাই না। তোমার এই সুন্দর গন্ধ তোমার সঙ্গে সারা জীবন থাকুক। আমি তোমাকে ভালবাসি ফুল, আর যতদিন বাঁচব বাসবও। তুমি আমাকে গন্ধ দাও বা না দাও আমি তোমাকে আমার পাখার রঙ দিয়ে যাব। যেদিন আমার কোনও কথা শুনতে পাবেনা, সেদিন বুঝবে আমার মৃতদেহ কোনও শুকনো ঘাসের স্তুপে পড়ে রয়েছে। আমি জানি সেদিন তোমার গন্ধ আমাকে ঘিরে থাকবে। আর মৃদুমন্দ বাতাস সেদিন আমার ডানার সব রঙ তোমার পাঁপড়িতে ছড়িয়ে দেবে। তুমি ভাল থেকো ফুল, শুধু তোমার ভাল থাকা প্রতিটা মুহুর্তই আমার পাখায় রঙ ছড়াবে...”
ওপ্রান্তের দীর্ঘ নিরবতা, টির হাহাকার আর্তনাদ আর চাঁদের আলো মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। আর তারপর............


এটা রূপকথার শেষ নয়, এটা রূপকথার শুরু। টি জানে না ভবিষ্যতে তার জন্য কি রাখা আছে। টির বাব-মা-বন্ধুরা কেউ জানে না। ফুলও জানে না। টি এটাও জানেনা ফুল তাকে ভালবাসে কিনা। যে ফুলের ভালথাকা টি কাছে পৃথিবীর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, সেই ফুল ভাল থাকবে কিনা টি তাও জানে না। তবুও রূপকথারা এভাবে শেষ হয়না। অজানা ভবিষ্যতের ভেতরে টিদের রঙিন ডানায় ফুলদের সুগন্ধ ছড়িয়ে দিতেই রূপকথারা জন্ম নেয় বারবার, প্রতি মুহুর্তে!

Tuesday, December 05, 2006

নামহীন (০৪.১২.০৬)

হাল্কা কুয়াশায় আমি পা ফেলি ঘাসে,
দুহাত কুঁকড়ে ধরে রাখি শরীরের ওম,
গুটিশুটি প্রতিটা রোমে তখন
মৃদুমন্দ ধোঁয়ার শীতল গন্ধ।
মুখ দিয়ে বেরোনো নিঃশ্বাসের ধোঁয়া
কখন যেন কুয়াশায় মিশে গিয়ে তোমার মুখের আদল নেয়!
পায়ের নিচের শিশির ভেজা ঘাসের ছোঁয়া
ধীরভাবে ছড়িয়ে দেয় শীতলতা
আমার শরীরে, ঠিক তোমার কথাগুলোর মতো।
অথবা দৃষ্টিবিভ্রম!

তবু আমি চলি কুয়াশার চাদর গায়ে জড়িয়ে,
ধীর লয়ে এক পা-দু পা করে চলতে থাকি
সূর্যের ঘুম ভাঙাতে!
আর চলো তুমি আমার পাশে পাশে,
সমস্ত তীব্র উষ্ণতা শুষে নেওয়া শীতল কুয়াশা হয়ে।
তুমি ঘিরে থাক আমায়, আমার প্রতি অঙ্গে তখন
তোমার মৃদুমন্দ শ্বাস-প্রশ্বাস।
আমরা হাত বাড়াই সূর্যের দিকে!

আড়মোড়া ভেঙে, নিদ্রাতুর চোখ মেলে চায়
সূর্য আমাদের দিকে,লালচে চ্ছটা তোমার শরীর জুড়ে,
হালকা উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে তোমার-আমার শরীরে।
উষ্ণতা পেয়ে জেগে ওঠে শীতকাতর সব গাছ-গাছালি,
উড়ে যায় হাজার-হাজার পাখি রঙ ছড়িয়ে
আমার মাথার উপর দিয়ে।
জেগে ওঠে পৃথিবী, আর তারি সঙ্গে ধীরে-ধীরে বিলীয়মান তুমি!

আমার চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে যাও তুমি,
সমস্ত নিঃস্তব্ধতা কাটিয়ে উচ্চ স্বরগ্রাম ঘিরে ধরে।
যান্ত্রিক বাহন নিঃশ্বরিত ধোঁয়ারা
শতপ্রচেষ্টা সত্বেও কুয়াশা হয় না।
সবাই কুয়াশা হতে পারে না!
সূর্য উঠলে তুমি চলে যাবে, এতো জানাই ছিল, তবু
আমরা সূর্যকেই ডেকেছিলাম, কারন
তুমি আসলে সূর্য হয়ে টুপ করে চাঁদ হয়ে যাও
ফের আবার কুয়াশা হবার জন্য।
আর আমি আবার পথ হাটি মৃদু অন্ধকারে
আমাকে ঘিরে থাকা তুমিই কেবল বাস্তব,
আর তোমার শীতলতায় বাকি সব বাস্তব এখন কল্পনা মাত্র!