Tuesday, December 05, 2006

নামহীন (০৪.১২.০৬)

হাল্কা কুয়াশায় আমি পা ফেলি ঘাসে,
দুহাত কুঁকড়ে ধরে রাখি শরীরের ওম,
গুটিশুটি প্রতিটা রোমে তখন
মৃদুমন্দ ধোঁয়ার শীতল গন্ধ।
মুখ দিয়ে বেরোনো নিঃশ্বাসের ধোঁয়া
কখন যেন কুয়াশায় মিশে গিয়ে তোমার মুখের আদল নেয়!
পায়ের নিচের শিশির ভেজা ঘাসের ছোঁয়া
ধীরভাবে ছড়িয়ে দেয় শীতলতা
আমার শরীরে, ঠিক তোমার কথাগুলোর মতো।
অথবা দৃষ্টিবিভ্রম!

তবু আমি চলি কুয়াশার চাদর গায়ে জড়িয়ে,
ধীর লয়ে এক পা-দু পা করে চলতে থাকি
সূর্যের ঘুম ভাঙাতে!
আর চলো তুমি আমার পাশে পাশে,
সমস্ত তীব্র উষ্ণতা শুষে নেওয়া শীতল কুয়াশা হয়ে।
তুমি ঘিরে থাক আমায়, আমার প্রতি অঙ্গে তখন
তোমার মৃদুমন্দ শ্বাস-প্রশ্বাস।
আমরা হাত বাড়াই সূর্যের দিকে!

আড়মোড়া ভেঙে, নিদ্রাতুর চোখ মেলে চায়
সূর্য আমাদের দিকে,লালচে চ্ছটা তোমার শরীর জুড়ে,
হালকা উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে তোমার-আমার শরীরে।
উষ্ণতা পেয়ে জেগে ওঠে শীতকাতর সব গাছ-গাছালি,
উড়ে যায় হাজার-হাজার পাখি রঙ ছড়িয়ে
আমার মাথার উপর দিয়ে।
জেগে ওঠে পৃথিবী, আর তারি সঙ্গে ধীরে-ধীরে বিলীয়মান তুমি!

আমার চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে যাও তুমি,
সমস্ত নিঃস্তব্ধতা কাটিয়ে উচ্চ স্বরগ্রাম ঘিরে ধরে।
যান্ত্রিক বাহন নিঃশ্বরিত ধোঁয়ারা
শতপ্রচেষ্টা সত্বেও কুয়াশা হয় না।
সবাই কুয়াশা হতে পারে না!
সূর্য উঠলে তুমি চলে যাবে, এতো জানাই ছিল, তবু
আমরা সূর্যকেই ডেকেছিলাম, কারন
তুমি আসলে সূর্য হয়ে টুপ করে চাঁদ হয়ে যাও
ফের আবার কুয়াশা হবার জন্য।
আর আমি আবার পথ হাটি মৃদু অন্ধকারে
আমাকে ঘিরে থাকা তুমিই কেবল বাস্তব,
আর তোমার শীতলতায় বাকি সব বাস্তব এখন কল্পনা মাত্র!

0 Comments:

Post a Comment

<< Home