Tuesday, October 17, 2006

নামহীন (১৩.১০.০৬)

নির্দিষ্ট অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘেরাটোপে দিনকাটে,
নিয়মিত মৈথুন শেষে স্বেদাক্ত শরীর
উথালপাথাল বিছানার চাদরের প্রতিটা ভাঁজে
জমে থাকা হতাশা আর বৈরাগ্য মিশে যায় আমার ঘামে।

জমাট বাঁধা অন্ধকার ছুঁয়ে খুঁজে বের করা কথা,
অস্ফুটে শুস্ক গলায় উচ্চারিত তোমার নাম
আর যতকিছু আমি বিড়বিড় করে বলে চলি
কামবিযুক্ত আমার অন্ধকারাচ্ছন্ন গুহা খুঁড়ে।

যতকিছু প্রত্নতত্ব নিদর্শন আমি সংগ্রহ করি,
এক আঁজলা স্বান্তনাও কী তার মধ্যে সামিল?
মাথার মধ্যে এঁকে যাওয়া যত সাদা-কালো অক্ষর
তোমার আমার কথোপকথনের ফসিল হয়ে থাকে।

অবাধ্য তুমি আর দুর্বোধ্য আমির মধ্যে শতাব্দীব্যপী দূরত্ত্ব
নিমেষে উড়ে যাওয়া কোন সময়যানের ও
চোখ এড়িয়ে যায়, সন্তর্পনে, নিঃশব্দে,
হয়তো বা খুবই নির্দিষ্টভাবে তোমার ইচ্ছায়, আমার অলক্ষ্যে।

আকাশগঙ্গায় এখন প্লাবন নতুন তারাদের ভীড়ে,
ছড়িয়ে পড়া আলোয় আমার বিযুক্তি নতুন কিছু নয়!
অথচ দিন-প্রতিদিনের লেনদেন শেষে করা হিসাবরক্ষন
তার কিছু প্রমান রেখে যায় না, অথবা কোন সূত্রও।

আর তা রেখে যাবেই বা কেন? কোন কারন তো থাকা চাই!
তুমি ফুটে ছিলে অথৈ দীঘিতে ফুটফুটে শালুক পাশে,
হঠাৎ আনা আমার ঢেউ তোমাকে খানিক দোলালেও
সরাতে পারে না, তেমনি থাকে তোমার মদমত্ত মরালগ্রীবা।

আমি পড়ে রই পথপাশে, অবহেলায় ধূলা-ধূসর,
একখন্ড বাসী মাংসের টুকরোর মতো ধিকি-ধিকি করে আমার হৃদয়
যা কোনও একসময় রক্তসঞ্চারিত করত আমার শরীরে
নিয়ে আসত তাপ আমার প্রতিটা অঙ্গে, কোষ-কনিকায়।

ধীর চোখে চেয়ে আমি আরও দৃঢ় হই,
তুমি জাননা, মানুষ বাঁচার জন্য কতদূর যেতে পারে!
নির্বোধ জীবন-যাপন স্বপ্ন শেষে ঘুম ভাঙলে
নিয়মিত কিছু কর্তব্য, সংসার আর যৌনতার হাত থেকে বাঁচার জন্য।

আমি হাত বাড়াই আমার হাতের দিকে,
রঙভেজা তুলির মতো হালকা টানে এঁকে দিই একটা স্বপ্ন,
ফিন্‌কি দিয়ে বেড়িয়ে পড়ে নীলচে রক্ত
আমার জামায় তখন রক্তের দাগ, মুখের ভেতর রক্তের তেতো স্বাদ।

ধীরে-ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে আমার শরীর,
চোখের কোনে খেলে যায় বৃষ্টি ভেজা স্বপ্ন,
তোমার হাতে আমার হাত, মুছে যায়, এটাই ভবিতব্য!
কে বলেছে তোমায়, মানুষ একবারই আত্মহত্যা করতে পারে!

0 Comments:

Post a Comment

<< Home