Friday, October 06, 2006

নামহীন (০৬.১০.০৬)

নিঃশব্দে একটা রাত্রি পেরোই আমি। বিনিদ্র কিছু স্বপ্ন চোখের অগোচরেই থেকে যায়। ভারী হয়ে আসা চোখের পাতা দুঃসাহসে চাইতে পারে না। বিনিদ্র রাত স্বপ্নে জাগা থাকে দিবাজাগরনে। রাত কুঁড়িরা যখন মেলে সুগন্ধ পাখা, চাঁদের চোখ তখন ঢুলু ঢুলু। উৎকন্ঠায় কাটা একটা রাত হাজারটা বছরের সমান। সময়ের হিসাব কে রাখে? হিসাবের খাতায় লেখা থাকলে দেখা যেত কত হাজার হাজার বছর আমি কাটিয়ে এসেছি! জোর করে বুঁজে থাকা অবাধ্য চোখ জুড়ে আলকাতরার প্রলেপ। মাথার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে প্রচন্ড চিৎকার। এই পৃথিবীর থেকে ঘুমের দেশ বহু-বহু দূরে! জোর করে মিশিয়ে দেওয়া রক্তের এলকোহল শ্রান্ত হয়ে পড়ে। রক্তের গতিবেগ হয় দ্রুত থেকে দ্রুততর। হাতের তালুতে নির্জীব হয়ে পড়ে থাকা আধুনিক ফোনটা প্রহর গুনতে ভুলে গেছে। দেওয়ালে টাঙান ঘড়িটার কাঁটার প্রতিটা পদক্ষেপ অবিন্যস্ত, অবাধ্য! রাতচরা পাখীটা গাছের ডালে বসে অপেক্ষমান প্রহর শেষের। সমস্ত পৃথিবী এখন গভীর ঘুমে। আমার পৃথিবী থেকে ঘুমের দেশ বহু-বহু দূরে! তোমার স্খলিত হাত অবচেতনে জড়িয়ে আছে এক পশলা বাতাস। তোমার স্বপ্ন জর্জরিত শ্বাস ঠোঁট-বুক বেয়ে চলাচল করে। যান্ত্রিক হাওয়ার ঘূর্ণায়মান প্রবাহ তোমার পা-ঊরু-জঙ্ঘা বেয়ে ধাবমান। স্বপ্নভেজা তোমার মুখ তীব্র পরিতৃপ্তি প্রসূত। এখন তুমি আকাশ জুরে মেঘ বলাকা! সঙ্গী পরিজনে তোমার উড়ান কোন এক রঙিন দ্বীপে স্থান পায়। যোজন ব্যাপী দূরত্ত্বে ফ্যাকাসে চোখে আমার সূর্যোদয়। তীব্র জ্বালা বয়ে নিয়ে আমি শুরু করি আরেকটি দিন, আরেকটি বিনিদ্র রাত পাবার জন্য।

0 Comments:

Post a Comment

<< Home