Sunday, September 17, 2006

নামহীন (১৭.০৯.০৬)

তুমি জান না সখী, কত কষ্ট বুকে নিয়ে আমি বাঁচি। এক সমুদ্র কান্না বুকে চেপে বিনিদ্র রাত কাটাই আমি। তুমি জান না, নিরবিচ্ছিন্ন অসংখ্য প্রগলভতা ঘিরে থাকে আমার রাত্রি-দিন। চিরায়ত কিছু স্বপ্ন ছবি আমার মস্তিষ্কে আলো-ছায়া এঁকে যায়। তুমি জান না, তোমার আনত চোখের মদিরতা আমার বুকে জাগায় কালবৈশাখী। জল ভেজা প্রবল হাওয়ার ঝাপটা লাগে মুখে, বুজে আসা চোখ ছুঁয়ে যায় ঝলসে ওঠা তরিৎশিখা। তুমি জান না, তোমার গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া অগোছালো চুল বেয়ে বয়ে যায় আমার কল্পনার পক্ষীরাজ। তোমার সিঁথির আল বেয়ে উড়ে যায় মন পাখী তোমার দিকে ডানা মেলে। তুমি জান না, তোমার আধভেজা মৃদু ঠোঁট লাল শালুকের চেয়েও বেশী নেশাতুর। নিঃশব্দে প্রতিফলিত তোমার অধরের ঔজ্জ্বল্য ঝলসে দেয় আমার চোখ, সংঞ্জা হারানর আগে পযর্ন্ত। তুমি জান না, তোমার দুই ভুরুর মাঝে আঁকা টিপটা, উড়িয়ে নিয়ে যায় সব মন খারাপ করা অগোছালো ভেসে বেড়ান শরতের মেঘগুলোকে। ঘুমের মাঝে আমার স্বপ্নে, ছুঁয়ে যায় আমার সব না বলা কথাগুলোকে। তুমি জান না, তোমার কাঁধ থেকে খসে পড়া শাড়ির আঁচল, আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমাকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বেড়ে ওঠে ঠিক একটা মাধবীলতার মতো। তুমি জান না অনেক কিছুই। তাই এত সহজে ধুলায় ছড়াও বহুমূল্য সম্পদ। তুমি জান না, কখন এককনা রোদ হঠাৎ হীরে বানিয়ে দেবে একবিন্দু জলকে। তুমি জান না, কোনদিন আমার চোখ ছলকে ওঠা জলে অথৈ মহাসমুদ্রের জন্ম হবে। তুমি জান না অনেক-অনেক কিছু, তাই এত অবুঝ তুমি!

0 Comments:

Post a Comment

<< Home